মাদরাসার বিভাগসমূহ

১. নূরানী একাডেমী বিভাগ: এখানে এলাকার ও আশপাশের ছোট ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়। এটি জেনারেল ও ইসলামিক শিক্ষার সমন্বয়ে তৈরি সিলেবাস। প্লে শ্রেণী থেকে ক্লাস থ্রী পর্যন্ত পড়ানো হয়। বাংলা, ইংরেজী ও গণিতের পাশাপাশি দু‘আ, দরুদ, সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত, নিত্য দিনের দু‘আ, প্রয়োজনীয় মাসাইল, নামায, জানাযার নিয়ম-কানুন ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া হয়।

২. মকতব বিভাগ: এ বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আসা বা”চাদের নেয়া হয়। এখানে শুদ্ধরূপে কুরআন মাজীদ ও প্রয়োজনীয় দু‘আ-মাসাইল শিক্ষা দেয়া হয়।

৩. নাযিরা বিভাগ: মকতব থেকে উত্তির্ণ বা”চাদের আরো সুন্দর লাহানে কুরআন মাজীদ দেখে দেখে কয়েক খতম করানো হয় এবং হিফযের উপযোগী করে তোলা হয়।

৪. হিফয বিভাগ: নাযিরা সম্পূর্ণ করা বাচ্চাদের পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবি ছাত্রদের নেয়া হয়। মেধা অনুযায়ী এক থেকে তিন বছরে একটি ছাত্র হিফ্জ তথা পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্ত করতে পারে।

৫. কিতাব বিভাগ: দীর্ঘ নয় বছরের কোর্স শেষে দাওরায়ে হাদীছ পাস করলে বর্তমানে সরকারি স্বীকৃতি অনুযায়ী এম এ পাস হয় আর আরবী পরিভাষায় মাওলানা বা আলিম বলা হয়।

৬. ইফতা-মুফতি কোর্স: দাওরায়ে হাদীছ পাস ছেলেদের থেকে বাছাইকৃত মেধাবি কিছু ছাত্র নেয়া হয়। এক বছর মেহনত করে এ ডিগ্রি অর্জন করে। এখানে মূলত মানুষের সব বিষয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয় তার শরঈ সমাধান কুরআন, সুন্নাহর মাধ্যমে দেয়ার যোগ্যতা তৈরি করানো হয়।

৭. আরবী সাহিত্য বিভাগ: এখানে আরবী সাহিত্যের ওপর পারদর্শী করে তোলা হয়। পূর্ণ এক বছর কোর্স।

৮. তাফসীর বিভাগ: কুরআনে কারীমের তাফসীর শিখানো হয়, এখানেও এক বছর সময় দিতে হয়।

৯. নাহউ ও সরফ কোর্স: আরবী গ্রামারে দুর্বল ছাত্রদের এক বছর মেয়াদিতে বিভিন্ন কৌশল প্রাক্টিক্যালের মাধ্যমে মজবুত ও দক্ষ বানানো হয়।

১০. দাওয়া ওয়াল ইরশাদ বিভাগ: বিভিন্ন সময় সমসাময়িক বিষয়ে মানুষকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রচারের মাধ্যমে, বক্তৃতার মাধ্যমে আর কখনো সেমিনারের মাধ্যমে।

১১. ফিরাকে বাতিলা বিভাগ: যুগে যুগে পথচুত, বিভ্রান্তসৃষ্টিকারী, বাতিল আকীদা পোষণকারী ভ্রান্ত মতবাদের ধৃষ্টতা চলে আসছে। তাদের ফিতনা থেকে উম্মত কীভাবে বাঁচতে পাারে সে জন্য প্রথমে তাদের আকীদা-চিন্তা-চেতনা ও কর্মপন্থা, তাদের ভুল দলীলসমূহ সম্পর্কে অবগত হতে হয়, একজন দক্ষ ও পথপ্রদর্শক আলিম হওয়ার জন্য বিষয়গুলি খুবই গুরত্ত¡পুর্ণ। তাই প্রতি বৃহস্পতিবার করে এ বিষয়ে তা’লীম দেয়া হয়। এতে তাদের আকীদা ও তার খন্ডন শিক্ষা দিয়ে একেকটি ছাত্রকে উম্মতের চেরাগ ও আলোর দিশারি করে তৈরি করা হয়।

১২. ফিকহি সেমিনার: প্রতি মাসে এক দিন (মাসের প্রথম শনিবার) বিভিন্ন ব্যবসায়ী, উলামা, ইমাম, খতীবদের নিয়ে চলমান বিভিন্ন মাসয়ালার ওপর আলোচনা করে উম্মতকে হারাম ও ভ্রান্তি থেকে সতর্ক করে দিয়ে সঠিক মাসয়ালার আলোচনা করা হয়।

১৩. প্রকাশনা বিভাগ: আমল, আখলাক, দু‘আ দরুদ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা মূলক তথ্যবহুল ছোট কিতাব আকারে ছাপানো হয়। এতে করে সাধারণ মানুষ সঠিক মাসায়ালা সম্পর্কে অবগত হয়ে সঠিক আমল করতে সক্ষম হয়।